skip to main |
skip to sidebar
‘অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও ভালো সিরিজ হবে বললেন মুশফিক
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjZsywvVKCKHOguvM2RwwD2UJ1Ob9O456N1EEIXJZScPH-8QSPz4Khrhl47Y1fEanvipuwNORTsNQnoU0akigxe5W5VlO5c9dzZapiXa2VMBUaqjzNG7AJTjZ_K5hQpKjjQ8GzerCiKUb4/s320/b.png)
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আপাতত বিশ্রামের সময়। এ সুযোগে ক্রিকেটাররা সেরে নিচ্ছেন ব্যক্তিগত কাজ। টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম
যেমন গতকাল পণ্যদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হলেন একটি অনলাইন কেনাকাটার সাইটের
সঙ্গে। এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানেও মুশফিকের মুখে অবধারিতভাবেই থাকল
ক্রিকেট
টেস্টের এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে টেস্ট সিরিজটা
সেভাবে খেলতেই দিল না বৃষ্টি। সামনে অস্ট্রেলিয়া আসছে। দক্ষিণ আফ্রিকার
সঙ্গে তুলনা করলে অস্ট্রেলিয়াকে কেমন শক্তিশালী মনে করেন?
মুশফিক:
বাংলাদেশ দল খুবই ভালো করছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া দুই রকম
প্রতিপক্ষ। অস্ট্রেলিয়া যতই খারাপ করুক, তারা যেকোনো কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে
পারে। এ জন্যই তারা র্যাঙ্কিংয়ের এক-দুই নম্বরে থাকে সব সময়। আমাদের জন্য
খুবই কঠিন হবে। কিন্তু বাংলাদেশ দল ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছে। সেটা যদি
বজায় থাকে, তাহলে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও খুবই ভালো একটি সিরিজ হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজ শেষের বিরতিতে কি দলের ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়বে?
মুশফিক:
বিরতি তো দুই মাসের নয়। ১৫ দিনের মতো বিরতি। তারপর ফিটনেস ও স্কিল ক্যাম্প
আছে। শেষ আট মাস যা করেছি, তা ধরে রাখতে পারব। আর এখানে পরিবারের অনেক
ত্যাগ আছে। অনেকে ঠিকমতো ঈদও করতে পারিনি। চেষ্টা করব পরিবারের সঙ্গে একটু
সময় কাটাতে। আমার ইচ্ছে আছে বগুড়া যাওয়ার। ঈদে বগুড়া যেতে পারিনি। আশা আছে
চাঙা হয়ে পরবর্তী যে চ্যালেঞ্জ আছে, তাতে ভালো করব।
ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি আপনি লেখাপড়াও চালিয়ে গেছেন। মাস্টার্স পাস
করেছেন। তরুণ ক্রিকেটারদের অনেকে ভালো ক্রিকেটার হলেও লেখাপড়ায় তাঁদের তেমন
উৎসাহী দেখা যায় না। তরুণদের জন্য কী বলবেন?
মুশফিক: এটা আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শুধু খেলা না, যেকোনো জায়গায় শিক্ষাটা কাজে লাগে। এটি সিদ্ধান্ত নিতেও
সাহায্য করে। মাথা ঠান্ডা রাখতে, পরিকল্পনা করতে সাহায্য করে। আমার
ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। এখানে আমার বাবা-মায়ের অনেক অবদান। খেলোয়াড়ি জীবন
অল্প কিছুদিন থাকবে, কিন্তু পড়াশোনাটা আমার পরিচিতি। মরার আগে পর্যন্ত
মানুষ এগুলো মনে রাখবে। আমার সঙ্গে তরুণ খেলোয়াড়দের কথা হলে আমি তাদের বলি,
পড়াশোনাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যেসব তরুণ খেলোয়াড় আছে—বিজয় (এনামুল
হক), সাব্বির (সাব্বির রহমান) ওরাও আস্তে আস্তে এটা বুঝছে। একটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ওদের কথাও হয়েছে।
২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার যে দলটি এসেছিল, বর্তমান দলের মাইকেল ক্লার্কই
সেটির একমাত্র সদস্য। শক্তির বিচারে এখনকার অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে
বাংলাদেশের তুলনা কীভাবে করবেন?
মুশফিক: অস্ট্রেলিয়ার যে দল আসবে, তারা
অবশ্যই মেধাবী। এখন ভালো খেলুক, খারাপ খেলুক অস্ট্রেলিয়া সব সময়ই ভালো দল।
শেষ চারটি সিরিজ আমরা যেভাবে খেলেছি, সে কাজগুলোই আমাদের আবার করতে হবে।
নবীন ও সিনিয়র খেলোয়াড়দের মধ্যে ভালো সমন্বয় চলছে, যেটার ফল আপনারা দেখতে
পাচ্ছেন। এই ধারাবাহিকতাটা বজায় রাখতে হবে। যেখানে শেষ করেছি, সেখান থেকে
যেন শুরু করতে পারি।
শেষ আট মাসে বড় কয়েকটি দলের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেন। কোনটাকে এগিয়ে রাখবেন?
মুশফিক: কোনো সিরিজকেই খাটো করে দেখার
নেই। পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা যা করেছি অবিশ্বাস্য। অনেকে বলেছেন পাকিস্তান
তরুণ একটা দল পাঠিয়েছে। তারপর ভারতের পূর্ণ শক্তির দলের সঙ্গে ভালো করেছি।
আমাদের ভালো খেলায় দর্শক ও সংবাদমাধ্যমের অবদান আছে। তাদের প্রত্যাশা
আমাদের ভালোটা বের করে আনছে। দর্শকদের ধন্যবাদ। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে
সিরিজটা আমাদের জন্য ছিল শিক্ষণীয়। তিনটি ম্যাচ হেরে যেভাবে ঘুরে
দাঁড়িয়েছি, সেটা খুবই ভালো ফল, এটা ভবিষ্যতে আমাদের সাহায্য করবে।
0 comments:
Post a Comment